ডায়াবেটিস রোগীরা চাইলে আম খেতে পারেন, তবে খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত এক কাপ কাটা আমে প্রায় ২২–২৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি মানের হওয়ায় বেশি খেলে রক্তে শর্করা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। তাই দিনে আধা কাপের বেশি আম না খাওয়াই ভালো। খাওয়ার সময় খালি পেটে না খেয়ে খাবারের সঙ্গে বা নাশতায় খেলে রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি কম হয়। যাদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে নেই বা HbA1c অনেক বেশি, তাদের জন্য আম এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া আম খাওয়ার পর রক্তে শর্করা পরীক্ষা করলে শরীরের প্রতিক্রিয়া বোঝা সহজ হবে। মনে রাখতে হবে, জুস, স্মুদি বা আমের মিষ্টিজাত খাবার ডায়াবেটিস রোগীর জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়।
![]() |
আম |
ডায়াবেটিস রোগীরা আম খেতে পারবেন, তবে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়াই সবচেয়ে জরুরি। 🍋
👉কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
১ কাপ কাটা আম (প্রায় ১৫০ গ্রাম)-এ প্রায় ২২–২৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে।
-
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) মাঝারি মানের (প্রায় ৫১–৬০), তাই বেশি খেলে রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়াতে পারে।
-
ভিটামিন A, C, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় সামান্য পরিমাণ খেলে উপকারও রয়েছে।
✅ নিরাপদ পরিমাণ:
-
দিনে ½ কাপ (প্রায় ৭৫ গ্রাম বা ছোট আধা আম) খাওয়া যেতে পারে,
-
তবে সেটা অবশ্যই খালি পেটে নয়, বরং খাবারের সঙ্গে বা নাশতায়, যাতে রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি কম হয়।
যাদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে নেই বা HbA1c অনেক বেশি, তাদের জন্য আম খাওয়া এড়ানো ভালো।
👉 টিপস:
-
আম খাওয়ার পর শর্করা পরীক্ষা করে নিজের শরীরের প্রতিক্রিয়া বুঝতে হবে।
-
জুস, স্মুদি, বা আমের মিষ্টি জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ এড়ানো উচিত।